নবকণ্ঠ ডেস্কঃ গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে। ‘বাংলাদেশের জনগণ’ ব্যানারে গরু জবাই করার কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ পালিত হচ্ছে। সমাবেশে তারা অভিযোগ করেন— ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের তওবা করানোর জন্য এ জিয়াফতের আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের বিগত সতের বছরে জঙ্গী নাটক সাজানো, ভারতীয় আগ্রসনে সংশ্লীষ্টতা সহ নানা দেশ বিরোধী কর্মকান্ড নিয়ে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন ও ফ্রান্সে বসবাসরত মানবধিকার কর্মী ও অনলাইন এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য্য এর ইউটিউব চ্যানেলে একাধিক ভিডিও প্রচারিত হয়। মূলত তার পর থেকেই বিক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ঘিরে।
এর আগে একই ব্যানারে গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোর সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিক্ষোভকারীরা। পরদিন শুক্রবার ডেইলি স্টারের পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করা হয়। পরে সেখান থেকে পত্রিকার দুটির কার্যালয়ের সামনে গরু জবাই করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েকটি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। এসময় পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার চলে বিক্ষোভকারীদের। সর্বশেষ ঘটনাস্থল থেকে দুই জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের উপর হামলার ঘটনায় নিন্দ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। গতকাল মিডিয়ার পাঠানো এক প্রেস রিলিজে হেফাজত আমীর আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীর বরাতে এই বিবৃতি প্রেরণ করা হয়। বিবৃতিতে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে জুলুমের দায়ে মাহফুজ আনাম ও মতিউর রহমান এর পদত্যাগ দাবি করা হয়। বিবৃতিতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারকে জঙ্গী নাটকের অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও ওয়ার অন টেররের সারথী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে তাদের ইসলাম বিরোধি কর্মকান্ড ও ইসলামকে ব্যাঙ্গ করে কার্টুন প্রকাশের ঘটনা উল্লেখ করে হেফাযতে ইসলাম।
-191
নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।