
এ যেন কেঁচো খুড়তে সাপ! মুনিয়া হত্যা ঘাটতে গিয়ে উন্মোচিত হচ্ছে ঢাকার অন্ধকার জগতের আরেক দরজা! গুলশানের আলোচিত মুনিয়া হত্যা প্ররোচনা মামলায় ফের আলোচনায় আসছে আপন জুয়েলার্স মালিকের ছেলে সাফাতের সাবেক স্ত্রী পিয়াসা ওরফে ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা’র নাম। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সুত্র থেকে জানা যায়, এজহারে যে পিয়াসার নাম উল্লেখিত হয়েছে তার পুরো নাম ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা। পিয়াসার সাথে এই মামলার যোগ সূত্র খুঁজে দেখা হচ্ছে।
কিন্তু কেন বার বার বিভিন্ন মামলার ক্ষেত্রে এই নামটি আলোচনায় আসে? কে এই পিয়াসা? খোঁজ নিয়ে জানা যায় পিয়াসার বাড়ি চট্টগ্রাম এর আজগর দিঘী লেনে। তার বাবার নাম মাহবুব আলম যিনি পক্ষাঘাতে আক্রান্ত রোগী। নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবাবারের পিয়াসা ১২ বছর আগে ঢাকায় আসেন। এর পর এশিয়ান টিভির সাবেক এমডি, বর্তমানে কারাগারে অন্তরীন মিজান এর সখ্যতায় মিডিয়া পাড়ায় মোটামুটি পরিচিতি লাভ করেন। এখন তিনি কোন মিডিয়া বা চাকুরি ব্যবসা না করলেও থাকেন গুলশানের অভিজাত ফ্লাটে। চলাচল করেন কোটি টাকার বিএমডাব্লিও গাড়িতে। সন্ধ্যা হলেই তাকে একদল তরুনীদের নিয়ে সিসা বা মদের আড্ডায় দেখা যায়।

একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, এই পিয়াসা বড়লোক বাবার সন্তান দের কিংবা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের মনোরঞ্জনের জন্য নারী সাপ্লাই দিয়ে তাদের সুনজরে থেকেই এরকম বিলাসী জীবন যাপন করেন। কেউ কেউ তাকে আরেক পাপিয়া বলেও সম্বোধন করে থাকেন।

তার সঠিক আয়ের কোন উৎস না থাকলেও তার উচ্চাভিলাসী জীবন যাপনের প্রমান পাওয়া গেছে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ফুটেজে। এই ঘটনায় যে ব্যবসায়ীর নামে মামলা হয়েছে তার সাথেও পিয়াসার ঘনিষ্ট যোগাযোগ ছিল। ২০১৭ সালের আপন জুয়েলার্স এর মামলার ঘটনায়ও তার নাম আলোচিত হয়েছিল। সেই মামলা তার ইন্ধনেই হয়েছিল বলে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা সেই সময় জোর দাবি তুলেছিলো। বড় লোক বাবার সন্তানদের বিপথগামী করে, তাদের মনরঞ্জনের ব্যবস্থা করে তাদের থেকে সুবিধা আদায় করাই তার আয়ের আসল উৎস বলে জানায় সূত্রটি।