নবকণ্ঠ ডেস্কঃ শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
অলি আহমদ মনে করেন, ১৯৭০ সালে যখন নির্বাচন হয় তখন সেটা ছিল বাঙালি ও অবাঙালিদের মধ্যে; এটা কোনো রাজনৈতিক দলের মধ্যে ছিল না। যেহেতু সেই সময়ে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারী দল ছিল আওয়ামী লীগ, মানুষ আওয়ামী লীগকে নিরঙ্কুশভাবে জয়ী করে। স্বাভাবিকভাবে শেখ মুজিবুর রহমান মনে করেছিলেন তাকেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী করা হবে এবং তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতেই আগ্রহী ছিলেন।
তিনি ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বলেন, তখন আমি, তৎকালীন মেজর জিয়া ও লে. কর্নেল এম আর চৌধুরীর নেতৃত্বে বিদ্রোহের পরিকল্পনা করলাম। এই বিদ্রোহের কথা শেখ মুজিবকে জানালাম।
তাকে বললাম, আপনি যদি আমাদের অনুমতি দেন, তবে অতিসহজে আপনাকে বাংলাদেশ স্বাধীন করে দিতে পারব। কিন্তু শেখ মুজিব সে অনুমতি দেন নি। জবাবে মুজিব বলেন, আমি এক ইয়াহিয়া খানের পরিবর্তে আরেক ইয়াহিয়া খানের ওপর দায়িত্ব দিতে পারি না। পরবর্বতীতে আরও তিনবার তার সাথে যোগযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি একই জবাব দেন।
কর্ণেল অলি আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে আমরা দেখলাম, তিনি পাকিস্তানিদের সঙ্গে বৈঠক ঠিক করলেন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। তিন দিন তিনি বৈঠক করলেন এবং বৈঠক ফলপ্রসূ হলো না। এরপর তিনি বললেন, আগামীকাল থেকে হরতাল। এর আগে ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল, তখন আমরা মনে করেছিলাম তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেবেন। তবে তিনি স্বাধীনতার আশপাশেও ছিলেন না। পরবর্তী পর্যায়ে তিনি স্বদিচ্ছায় পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পণ করে কামাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তান চলে যান। অর্থাৎ তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চান নাই এবং তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়েছিলেন। তিনি কখনোই বাংলাদেশের স্বাধীনতা চান নাই।
-191
নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।