নবকণ্ঠ ডেস্কঃ অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশী কমিউনিটি কর্তৃক আয়েজিত অস্ট্রেলিয়ান ফেডেরাল পার্লামেন্ট হাউজ এর সামনে গত ২০ আগষ্ট এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় স্বৈরাচারী সরকারের পতনের আন্দোলন দমাতে খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মার্চ ফর জাস্টিস নামে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ।

অস্ট্রেলীয় বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতা জনাব রাশেদুল হকের সভাপতিত্বে এবং কমিউনিটির সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত জনাব এ এফএম তাওহীদুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন শহর থেকে আসা তিন শতাধিক ছাত্র জনতা। আয়োজনে উপস্থিত থেকে বিশেষভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, সিনেটর ডেভিড সুব্রিজ এর নেতত্বে আরও বেশ কয়েকজন অস্ট্রেলিয়ান সিনেটর। এসময় উল্লসিত দর্শক শ্রোতাদের বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হতে দেখা যায় ।
এ সময় তারা বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ি হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি এবং ইতিপূর্বে ঘটে যাওয়া গুম-খুনের সুষ্ঠু বিচার এবং ভবিষ্যতে তা বন্ধ করতে আমরা পদক্ষেপ নেওয়ার বিসয়ে আশ্বাস প্রদান করেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কতৃক সাধারণ ছাত্র ও সাংবাদিক নিহতের ঘটনা উল্লেখ করেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় তারা হাসিনা সরকার ও তাদের ক্যাডার বাহিনী কতৃক নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সিনেটর ডেভিড সুব্রিজ বলেন,” আপনাদের এই বিশাল সমাবেশ এবং সম্মিলিত ধ্বনি অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্টের ভেতর পর্যন্ত শুনতে পাবে।” তিনি আরও বলেন, “সারা বিশ্বই আজ জেনে গেছে বাংলাদেশে পতন হওয়া স্বৈরাচারী সরকারের দুঃশাসনের কথা।” তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন, “বিশ্বের আর কোন দেশ এই নিয়ে সচেতনা হোক বা না হোক, তিনি নিজে ও তার দল এবং সরকার অবশ্যই খুনি হাসিনার দুঃশাসনের বিষয়ে কথা বলে যাবেন।”

বাংলাদেশী কমিউনিটির পক্ষে বক্তব্য রাখেন সার্বজনীন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব জনাব মোহাম্মদ হায়দার আলী । তিনি আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সকাল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের সুচিকিৎসা জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান। এ ছাড়া খুনি হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কে নিষিদ্ধ করে অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। অস্ট্রেলিয়া সহ সারা বিশ্বের সকল দেশ প্রেমিক বাংলাদেশি যারা বিগত আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষের পক্ষে নানা ভাবে সহায়তা করেছেন তাদের কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ।
এ ছাড়া ও কমিঊনিটির পক্ষে আরো বক্তব্য রাখেন জনাব মোহাম্মদ ফেরদৌস অমি , কে এম মনজুরুল হক, আশরাফুল আলম রনি, ফয়জুর চৌধুরী, নজরুল ইসলাম নাফজ ,ওমর শরীফ সিহান,আসওয়াদুল হক বাবু, খাদিজা জামান রুপম, তারেক মামুন, আবিদা সুলতানা, জাহাঙ্গীর আলম, জাহিদুর রহমান, ফারুক হোসেন খান প্রমুখ। ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনাব মোঃ রেজানুর রহমান রুপন ।
সমাবেশ শেষে সম্মানিত সিনেটর জনাব ডেভিড সুব্রিজ এবং অস্ট্রেলীয় বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতা জনাব রাশেদুল হকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অস্ট্রেলিয়া ফেডারেল পার্লামেন্টের ভিতরে শুনানিতে অংশ নেন।
-191
নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।