অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবে বিদেশি নাগরিকরাও

অস্ট্রেলিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবে বিদেশি নাগরিকরাও

নবকণ্ঠ ডেস্কঃ সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিদেশ থেকে নিজেদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেয়ার অনুমতি দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স (এডিএফ)।

অস্ট্রেলিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে সরকার বিদেশী নাগরিকদের সেনাবাহিনীতে যোগদানের অনুমতি দেওয়ার নীতি পর্যালোচনা করছে। তিনি আরও বলেন, যারা আবেদন করবেন তাদের অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য হতে হবে এবং ৯০ দিন চাকরির পর তাদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে।

এই পদক্ষেপটি সেনাবাহিনীর দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা জনসংখ্যার ঘাটতি মোকাবেলা করার একটি উপায় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে, শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দারাই স্থায়ীভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারে।

আগামী জুলাই মাস থেকে নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের মধ্যে যারা অস্ট্রেলিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা তারা সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং পরের বছর থেকে বৃটেইন, অ্যামেরিকা, ক্যানাডাসহ অন্য দেশ থেকেও সেনা নিয়োগের বিষয়টি প্রসারিত করবে।

নীতি পরিবর্তনের সমর্থকরা যুক্তি দেন যে এটি সেনাবাহিনীতে আরও বৈচিত্র্য আনতে এবং বিশেষ দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিদেশী নাগরিকদের নিয়োগ করতে সাহায্য করবে। যাইহোক, নীতির সমালোচকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে এটি জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এবং অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য চাকরির সুযোগ কমিয়ে দিতে পারে।

বিরোধী দলের পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র সাইমন বার্মিংহাম অবশ্য বলেছেন, তারা এ পরিকল্পনার বিরুদ্ধে নয়, তবে সরকারের নতুন প্রতিরক্ষা কৌশল সেনাবাহিনীর আস্থা ও মনোবলকে ক্ষুণ্ন করছে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আদর্শ অস্ট্রেলিয়ানদের অস্ট্রেলিয়ান সেনাবাহিনীর ইউনিফর্মে দেখতে চাই।’

সবকিছু বিবেচনায় রেখে নীতি পরিবর্তন সম্পর্কে এখনো কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এবং জনমত বিভক্ত। সরকার আগামী মাসগুলিতে এই বিষয়ে আরও পরামর্শ করার পরিকল্পনা করছে।

-191

 

 

 

নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.