নবকণ্ঠ ডেস্কঃ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়ানোর ভারতের অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-কে দেওয়া বিবৃতিতে এ অবস্থান তুলে ধরেন। পাশাপাশি, ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে শফিকুল আলম উল্লেখ করেন, “মুর্শিদাবাদের সহিংসতায় বাংলাদেশকে জড়ানোর যেকোনো প্রচেষ্টা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি।” তিনি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও তাদের সম্পদ ধ্বংসের ঘটনাকে নিন্দা জানান। এছাড়া, ভারতীয় কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে মুসলিম জনগোষ্ঠীর জীবন-সম্পদের পূর্ণ সুরক্ষা দেওয়ার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, মালদা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলিতে নতুন ওয়াকফ আইন বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আগুন লাগানো, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটে। মুর্শিদাবাদ জেলায় মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় এই উত্তাপ বাড়ে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের এই বিবৃতি দুই দেশের মধ্যকার সংবেদনশীল কূটনৈতিক সম্পর্কের দিকে আলোকপাত করেছে। ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ঢাকার জন্য অমূলক বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বার্তাটি স্পষ্ট: কোনো অবস্থাতেই প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ সংকটে বাংলাদেশের নাম প্রযুক্ত হতে দেওয়া হবে না। একইসঙ্গে, সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণেরও প্রত্যাশা জানানো হয়েছে।
এই ঘটনা ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন করে সংবেদনশীলতার প্রশ্ন তুলেছে। মুসলিম সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ আঞ্চলিক শান্তি ও সম্প্রীতির প্রতি ঢাকার অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন।
-191
নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।