নবকণ্ঠ ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় জীবনযাত্রার ব্যয় ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ জনগণের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়ছে। অস্ট্রেলিয়ায় মূল্যস্ফীতি বেড়ে চলতি বছরের এপ্রিলে পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে। পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি ও অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
গত বুধবার (২৯ মে) অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বার্ষিকভিত্তিতে দেশটিতে মাসিক ভোক্তা মূল্যসূচক এপ্রিলে বেড়েছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, যা মার্চের ৩ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বেশি। একই সঙ্গে পূর্বাভাস ৩ দশমিক ৪ শতাংশের চেয়েও বেশি। দেশটির মুদ্রাস্ফীতি হার গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এর ফলে পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতায় প্রভাব ফেলছে। বিশেষত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিডনি ও মেলবোর্নের মতো বড় শহরগুলোতে বাড়ি ভাড়া ও গৃহঋণের সুদের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বাড়ির মালিকরা উচ্চ মুনাফার জন্য ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন, যা মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। ব্যাংকগুলোর সুদের হার বৃদ্ধির ফলে গৃহঋণগ্রহীতাদের মাসিক কিস্তি বেড়ে গেছে, যা অনেকের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ার কারণে আর্থিক চাপে পড়েছে পরিবারগুলো। এমন পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুদের হার আরও বাড়তে পারে।
এই সংকট মোকাবেলা করার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সরকারের পক্ষ থেকে কর ছাড় ও ভর্তুকি প্রদান, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার পরিবর্তন এবং জনসাধারণকে সাশ্রয়ী উপায়ে জীবনযাত্রার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া, বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা ও সামাজিক সংগঠন সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে এবং তাদের সহায়তা প্রদান করছে।
অস্ট্রেলিয়ার জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার্যকর পদক্ষেপ ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ছাড়া এই পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন।
-191
নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।