নবকণ্ঠ ডেস্কঃ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, এটি পুরনো খবর। তিনি একটি বিমানে উঠেছেন বলে জানাচ্ছেন দেশটির সেনা কর্মকর্তারা। আসাদের দীর্ঘদিনের মিত্র রাশিয়াও তেমনটিই বলছে। তবে দেশ ছেড়ে কোথায় গেছেন বাশার আল-আসাদ, সেটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ সম্পর্কে কোনো পক্ষ থেকেই স্পষ্ট কোনো তথ্য আসেনি। ফলে এ কৌতুহল আরো দীর্ঘ হচ্ছে।
রবিবার সকালে রাজধানী দামেস্কে ঢুকে পড়েন বিদ্রোহীরা। এর আগেই দামেস্ক ছাড়েন বাশার আল-আসাদ। বাশার ব্যক্তিগত বিমানে দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়াল দেন বলে দুই সেনা কর্মকর্তার বরাতে জানা যায়। তবে তিনি কোথায় গেছেন, সেটি জানা যায়নি।
আসাদের পালিয়ে যাওয়ার খবরে দামেস্কের রাজপথে নেমে উল্লাসে মেতে ওঠেন সিরিয়াবাসী। মানুষ আসাদের প্রাসাদে ঢুকে লুট শুরু করেন। তারা রীতিমতো প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে তাণ্ডব চালিয়েছেন।
এর আগে গেল আগষ্টে অনুরুপ ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল বাংলাদেশও। সেদিন গণঅভ্যূত্থানের মুখে হেলিকপ্টার যোগে ভারতে পালিয়ে যায় হাসিনা। তারপরই গণভবনসহ রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় ঢুকে পড়ে আন্দোলনকারীরা। রাজপথে উল্লাসে ফেটে পড়ে সাধারণ জনতা। সে ঘটনার পরপরই ফ্যাসিস্ট সমর্থক অনেকেই দাবি করেছিল শীগ্রই সিরিয়ার পরিণতি ভোগ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু তার চার মাসের ব্যাবধানে ঠিক যেন সেই পুনারাবৃত্তি ঘটল খোদ সিরিয়াতেই। তাই সাধারণ জনমনে উপলব্ধি হচ্ছে বাংলাদেশ সিরিয়া না হলেও, ঠিকই সিরিয়া হলো বাংলাদেশ।
-191
নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।