নবকণ্ঠ ডেস্কঃ সম্প্রতি উত্তর কোরিয় নেতা কিম জং উন তার নেতৃত্বের দশম বছর পূর্তি উদযাপন করেছেন এক বক্তৃতা প্রদানের মাধ্যমে।
ওয়ার্কার্স পার্টি অফ কোরিয়া -ডব্লিউপিকে এর অষ্টম কেন্দ্রীয় কমিটির চতুর্থ পূর্ণাঙ্গ সভায় এই বক্তৃতা প্রদানকালে কিম বলেন, ২০২২ সালের জন্য উত্তর কোরিয়ার প্রধান লক্ষ্য হবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন শুরু করা এবং মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি করা। কারণ দেশটি এখন জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ের মুখোমুখি। এই বক্তৃতায় কিম পারমাণবিক অস্ত্র বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ট্রাক্টর কারখানা এবং স্কুল ইউনিফর্মের কথা বেশি উল্লেখ করেছেন বলে জানা যায়।
কিম তার বক্তৃতার বেশিরভাগ অংশেই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কে কথা বলেন। যেখানে গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা থেকে শুরু করে মানুষের খাবার, স্কুলের ইউনিফর্ম এবং “অ-সমাজতান্ত্রিক চর্চা”-এর বিরুদ্ধে ক্র্যাক ডাউন করার প্রয়োজনীয়তাও অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে “একের পর এক অতি-আধুনিক অস্ত্র ব্যবস্থার” উন্নয়নকে গত বছরের একটি বড় অর্জন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয় কিম একটি অস্থিতিশীল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার জন্য জাতীয় প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন।
পিতা কিম জং ইলের মৃত্যুর পর ২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর নিজেকে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা ঘোষণা করেন কিম জং উন।
নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।