নবকণ্ঠ ডেস্কঃ কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের সারে শহরে ৭ জুন, ২০২৪ তারিখে ২৮ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুবরাজ গোয়ালকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পুলিশ এটিকে টার্গেটেড কিলিং বলে মনে করছে। যুবরাজ গোয়াল ২০১৯ সালে পাঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে কানাডায় গিয়েছিলেন এবং সম্প্রতি স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা পেয়েছিলেন। ঘটনার দিন সকালে জিম থেকে ফিরে গাড়ি থেকে নামার পরই তাকে গুলি করা হয়, যখন তিনি তার মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শুক্রবার সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বাড়িতে গয়ালকে গুলি করে হত্যার খবর পায় সারে পুলিশ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় চারজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ফার্স্ট-ডিগ্রি মার্ডারের অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সারের মানভির বসরাম (২৩), সাহিব বসরা (২০), হারকিরাত ঝুটি (২৩), এবং অন্টারিওর কেইলন ফ্রান্সিস (২০)। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে, গোয়ালের কোনো অপরাধমূলক কার্যকলাপের ইতিহাস নেই, তবে পুলিশ ঘটনার পেছনের কারণ অনুসন্ধান করছে।
যুবরাজ গোয়ালের হত্যার পেছনে নির্দিষ্ট কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এটিকে একটি টার্গেটেড কিলিং বলা হচ্ছে, কিন্তু কী কারণে তাকে টার্গেট করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। যুবরাজের কোনো অপরাধমূলক ইতিহাস ছিল না এবং তার পরিবারের সদস্যরাও জানতেন না কেন তাকে হত্যা করা হতে পারে।
পুলিশ জনগণের কাছে অনুরোধ করেছে যে, এই ঘটনার সম্পর্কে কোনো তথ্য বা ড্যাশ-ক্যামের ফুটেজ থাকলে তা শেয়ার করতে।
এর আগে, ভ্যানকুভার শহরে একটি গ্যাং রাইভালরির ফলে ২৮ বছর বয়সী অমরপ্রীত সামরা নামের একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত গ্যাংস্টার খুন হয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডকে আন্তঃগ্যাং সংঘর্ষের ফলাফল বলে মনে করছে।
এই সমস্ত ঘটনাগুলো ভারতীয় এবং কানাডিয়ান সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশাল উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং সম্প্রদায়ের নেতারা এই সমস্যার সমাধানের জন্য কাজ করছেন। ভারতীয় সরকারও এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
-191
নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।