নবকণ্ঠ ডেস্কঃ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) চীনা গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, যা অনেকটাই যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে। ইইউ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীনা গাড়ির আমদানি বৃদ্ধি ইউরোপীয় গাড়ি শিল্পকে প্রতিযোগিতার চাপে ফেলছে এবং তাদের বাজারকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য নতুন নীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে। একারণে চীনা গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে এবার অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
চীন থেকে আমদানিকৃত গাড়ির সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। চীনা গাড়িগুলো সাধারণত কম দামে এবং উচ্চ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ হওয়ায় ইউরোপীয় বাজারে সহজেই প্রবেশ করতে পারছে। এই প্রবণতা ইউরোপীয় গাড়ি নির্মাতাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে, যারা ইতোমধ্যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে সংগ্রাম করছে।
বুধবার (১২ জুন) ইউরোপীয়ান কমিশন অটোমেকারদের জানিয়েছে, জুলাই থেকে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির আমদানির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। এর আগে চীনের গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ওই পদক্ষেপে আরও ১৮ বিলিয়ন ডলারের আমদানিকে প্রভাবিত করবে বলে জানানো হয়েছিল।
ইইউ কমিশনার উরসুলা ভন ডার লেইন বলেন, “আমরা আমাদের গাড়ি শিল্পের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমাদের উচিত এমন নীতি গ্রহণ করা যা ইউরোপীয় উৎপাদকদের সুরক্ষা দেয় এবং আমাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।”
এই পদক্ষেপের ফলে ইইউ এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও কঠিন হতে পারে। যদিও ইইউ’র এই পদক্ষেপকে অনেকেই ইতিবাচকভাবে দেখছেন, তবে কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, এতে ইউরোপীয় ভোক্তাদের জন্য গাড়ির দাম বেড়ে যেতে পারে।
-191
নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।