এন আই মাহমুদঃ এক দশক ধরে ফ্রান্সে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে চলেছে। সেই সাথে বাড়ছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নানান চাহিদা। গড়ে উঠেছে বাংলাদেশী পণ্যের বাজার। পন্যের বাজারের পাশাপাশি এখন দৃষ্টি আকর্ষন করছে ক্রমবর্ধমান সেবা-বাজার। আর এর উল্লেখযোগ্য একটি হল প্রবাসীদের ড্রাইভিং শেখা।
প্রবাসীদের ড্রাইভিং শেখানোর স্কুলের চাহিদার যোগান দিতে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় নানা প্রতিষ্ঠান। নিষ্ঠার সাথে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ড্রাইভিং বা গাড়ি চালনা শেখার কোর্স অফার করে চমক দেখিয়েছেন সিলেটের কানাইঘাটের ফ্রান্স প্রবাসী তরুন নাদিম। তার প্রতিষ্ঠান “পারমিজ” এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় ড্রাইভিং কোর্স।
ফ্রান্সের বাংলাদেশী জনপদের মূলত দুই তৃতীয়াংশই বৃহত্তর সিলেটের বাসিন্দা বলে অনুমান করা হয়। তাদের বিশাল বাজার চাহিদার উপর ভিত্তি করেই এ প্রতিষ্ঠানের বিশেষত্ব সাজিয়েছেন তরুন উদ্যোক্তা নাদিম। তবে তার প্রতিষ্ঠান শুধু সিলেটি ভাষায়ই সীমাবদ্ধ নয়। সিলেটি ছাড়াও বাংলা, ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, উর্দু ও হিন্দী ভাষায়ও শেখানোর ব্যবস্থা রয়েছে বিধায়, অন্যান্য ভাষাভাষিরাও নাদিমের প্রতিষ্ঠানে নিচ্ছেন প্রশিক্ষন।
নবকণ্ঠ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে নাদিম জানান, ড্রাইভিং এর গুরুত্ব প্রবাস জীবনে অপরিসীম যা দেশে থাকা কালীন কারো মাথায়ই থাকে না। ফ্রান্সের আসার পর অনেকেই সমস্যায় পড়ে থাকেন ও প্রশিক্ষণ নিতে প্রতিষ্ঠান খুঁজে থাকেন। প্রায় সকল শ্রেনীর জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানান তিনি।
ড্রাইভিং শেখার জন্য গভীর মনোযোগ ও চর্চার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, একনিষ্ঠতার উপর নির্ভর করে কত দ্রুত আপনি গাড়ি চালনায় পারদর্শী হয়ে উঠবেন। ইতোমধ্যে প্যারিসের উপকণ্ঠ সার্সেল এলাকায় তিনি গড়ে তুলেছেন নান্দনিক সজ্জার সেবাকেন্দ্র।
প্রশিক্ষণার্থীদের অনেককেই ইতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা যায়। তবে সেবার মান আরো বিশেষায়িত করতে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে “পারমিজ” বলে জানান তিনি।
নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।