নবকণ্ঠ ডেস্কঃ গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির আমীর জননেতা জনাব ডাঃ শফিকুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে আমীরে জামায়াত, দীর্ঘ তের বছর পর এ বৈঠক করতে পেরে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি স্মরণ করেন জামাআতের শীর্ষ নেতাদের যারা বিগত সরকারের আমলে বিচারিক হত্যাকান্ড ও জুলুমের শিকার হয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর শহীদ অধ্যাপক গোলাম আযম, শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, মরহুম মকবুল আহমাদ, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মাওলানা আবদুস সোবহান, অধ্যাপক এ কে এম নাজির আহমাাদ, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল শহীদ আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, শহীদ কামারুজ্জামান, শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লা, শহীদ মীর কাসেম আলীসহ সকল শহীদদের, যারা ইসলামী আন্দোলনের জন্য নিজেদের জীবনকে অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও স্মরণ করেন যাঁরা ইসলামী আন্দোলনের জন্য অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছে ও যারা আহত হয়েছে তাদের সুস্থতা কামনা করেন। তিনি সাম্প্রতিক বিপ্লবকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা উল্লেখ তরে এতে নিহত সকলের শাহাদৎ কামনা করেন ও আহতেদের জন্য আল্লাহর কাছে সুস্থতার নিয়ামত কামনা করেন।
নির্বাহী পরিষদের এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জনাব হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজাহান, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারী জনাব মতিউর রহমান আকন্দ, অধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ, জনাব মোবারক হোসাইন ও জনাব আবদুর রব।
উল্লেখ্য বিগত সরকারের দীর্ঘ শাষনামলে জামাআতে ইসলামী ছিল সবচেয়ে নির্যাতিত, নিষ্পোশিত দলের একটি। হত্যা, গুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে দলটির হাজার হাজর নেতা কর্মী। সেসময় প্রায় সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে দলটি। তবে দেশের পরিস্থিতি পাল্টানোর সাথে সাথে স্বাভাবিক কর্মকান্ডে ফিরতে পেরে আনন্দিত দলের নেতা কর্মীরা। ইতোমধ্যে বিগত সরকারের সময়ে করা নিষেধাজ্ঞাও উঠে গেছে। দলটির নীতিনির্ধারণি পর্যায়ে আলাপ করে জানা গেছে নিবন্ধন ফিরিয়ে আনতেও তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে।
-191
নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।