নবকণ্ঠ ডেস্কঃ বাংলাদেশ ম্যানপাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং ব্যুরো (বিএমইটি) এর ছাড়পত্র জটিলতায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা বর্তমানে ভোগান্তিতে আছেন। বিএমইটি ছাড়পত্র বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় নথি যা প্রবাসীদের বৈধভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। কিন্তু এই ছাড়পত্র পেতে প্রবাসীরা নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
প্রথমত, ছাড়পত্র প্রক্রিয়াকরণের ধীরগতির কারণে প্রবাসীদের অনেক সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। প্রায়শই দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও তারা প্রয়োজনীয় নথি হাতে পাচ্ছেন না। এ কারণে তাদের কর্মস্থলে যোগদানের সময়সীমা পেরিয়ে যাচ্ছে, যা তাদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
ছাড়পত্র পেতে প্রবাসীদের বিভিন্ন দালালের সাথে লেনদেন করতে হচ্ছে, যারা অতিরিক্ত অর্থ দাবি করছে। এর ফলে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল প্রবাসীরা চরম দুর্দশার মধ্যে পড়ছেন। দালালদের এই অনৈতিক কার্যকলাপ প্রবাসীদের জীবনে এক নতুন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করেছে।
বিএমইটি অফিসে সঠিক তথ্যের অভাব এবং কর্মচারীদের অদক্ষতার কারণে প্রবাসীরা প্রায়শই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এতে তাদের ছাড়পত্র প্রক্রিয়া আরও জটিল ও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। অনেক সময় প্রবাসীদের বিভিন্ন তথ্য ও নথি সংগ্রহ করতে অসুবিধা হয়, যা ছাড়পত্র পেতে দেরির কারণ হয়। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো জানিয়েছে, কোনো আগাম নোটিশ ছাড়াই সত্যায়নের নিয়ম চালু হওয়ায় আগের ভিসায় বিদেশযাত্রায় অনিশ্চয়তায় পড়তে হচ্ছে।
দলগত ভিসার যে পদ্ধতি সেটা অনেক দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। এক্ষেত্রে দূতাবাস থেকে সত্যায়ন করে এনে তারপর মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিয়ে পরবর্তী কাজগুলো করার জন্য বলছে সরকার। এ বিষয়ে বিএমইটির মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর জানান, কোনো কোনো দূতাবাসের সাহায্য করার মানসিকতা নেই। গোটা পদ্ধতি ডিজিটালাইজড হওয়া দরকার।
জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা বলছেন, ছাড়পত্র সংকটে হুমকির মুখে শ্রমবাজার। বিএমইটির ছাড়পত্র সংকটে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দূতাবাসগুলোর সমন্বয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ছাড়পত্র বিষয়ে বিএমইটির পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা থাকা জরুরি বলেও মনে করছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।
-191
নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।