নবকণ্ঠ ডেস্কঃ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডাঃ শফিকুর রহমান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হাসিনুর হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “ভারতীয় বাহিনী বুকের ওপর পা রেখে গুলি করে হাসিনুরকে হত্যা করেছে। মানুষ হয়ে এমন নৃশংসতা কীভাবে সম্ভব?” শনিবার লালমনিরহাট শহরের কালেক্টরেট মাঠে জেলা জামায়াতের জনসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শফিকুর রহমান ভারতকে “প্রতিবেশী” হিসেবে সম্মান দেওয়ার কথা বললেও সীমান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমরা সম্প্রীতির সহাবস্থান চাই, কিন্তু আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি “পেশিশক্তি ও কালোটাকামুক্ত” ভোটের দাবি জানান। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, “ফ্যাসিস্ট শক্তি গুম-খুন করে জনকণ্ঠ রোধ করেছিল। জনআন্দোলনে তারা শুধু ক্ষমতাই ছাড়েনি, দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।” তিনি নির্বাচনপূর্ব বিচার ও সংস্কারের ওপর জোর দেন।
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, “জামায়াত মসজিদ-মন্দির পাহারা দিয়েছে। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে সবাই সম্মান নিয়ে বাঁচবে।” নারীদের নিরাপদ কর্মসংস্থানের কথা বললেও জামায়াতের রক্ষণশীল নীতির সাথে এর সামঞ্জস্য প্রশ্নাতীত নয়।
সরকারি কর্মকর্তাদের পর্যাপ্ত বেতন নিশ্চিত করে দুর্নীতি কমানোর প্রস্তাব দেন তিনি। এছাড়া, যুবাদের কর্মসংস্থান ও শিক্ষাব্যবস্থা সংস্কারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সভায় জেলা জামায়াত নেতা আবু তাহেরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন দলের শীর্ষ নেতা আব্দুল হালিমসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
-191
নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।