আগামী তিন দিনের মধ্যে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নিপীড়ন বন্ধ না করলে এবং তাদের দেশের বাসিন্দাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে না নিলে আগামী সোমবার বাংলাদেশস্থ মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণজাগরণ মঞ্চ।
শুক্রবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ঢাকা-র্যালি শেষে মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার এ ঘোষণা দেন।
তিনি মানবতার পক্ষে সব মানুষকে সোমবার বিকেল ৩টায় গুলশান দুই নম্বর গোল চত্বর থেকে এ ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘আমাদের সরকারকে দুইটি বিষয় মাথায় রেখে এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে। সেটি হলো- জাতীয় নিরাপত্তা ও মানবিকতা। এ দুইটি বিষয় মাথায় রেখে সরকারকে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে ক্ষমতায় রয়েছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আংসান সুচি- যা নোবেল কমিটি ও সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য লজ্জার। নোবেল কমিটির কাছে দাবি জানাই, যে শান্তির নোবেল অশান্তি সৃষ্টি করছে, তা স্থগিত করা হোক।’
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, ‘যারা মানবতা নিয়ে কথা বলে, তারা আজ নিশ্চুপ। যারা মিয়ানমারের গণহত্যাকে সমর্থন করছে তারা জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদকে অবমাননা করছে। এ বিষয়গুলো বাংলাদেশকে জাতিসংঘের কাছে উত্থাপন করতে হবে। বাংলাদেশ এ গণহত্যার প্রধান প্রত্যক্ষদর্শী। তাই আমাদের উচিত হবে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর চলমান গণহত্যার চিত্র সারা বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরে জনমত তৈরি কর। যাতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের ভূমির অধিকার ফিরে পায়।’
গণজাগরণ মঞ্চের পূর্ব ঘোষিত ঢাকা-র্যালি শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে রূপসী বাংলা মোড় হয়ে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের টিএসসি মোড় হয়ে আবারও শাহবাগে এসে শেষ হয়। এ সময় শিশুরা মিয়ানমারে রোহিঙ্গা হত্যাবন্ধসহ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে ও স্লোগান দেয়।