আমার মা’কে বোলোনা আমি যে ঢাকায় আছি। ডোন্ট টেল মাই মাদার আই অ্যাম ইন ঢাকা। এরকম বিভিন্ন ভয়ংকর শহর কিংবা যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা থাকে, সোজা কথায় ডেঞ্জারাস সব শহরগুলোতে ফ্রান্সের ফিল্ম ও ডকুমেন্টারি মেইকার, পর্যটক, ডিয়েগো বুঁয়েল ঘুরে বেড়িয়ে ডকুমেন্টারি নির্মান করতেন। ন্যাশনাল জিওগ্রাফীতে দেখেছি।
বিভিন্ন সিটিতে তিনি গিয়েছেন এবং ঐ প্রোগ্রামটির নাম দিতেন, Don’t tell my mother I’m in Afghanistan. Don’t tell my mother I’m in Pakistan. এরকমভাবে তিনি ঢাকাকে নিয়েও একটি প্রোগ্রাম করেছেন এবং নাম দিয়েছেন Don’t tell my mother I’m in Dhaka.
পৃথিবীর যুদ্ধ বিধ্বস্ত নগর, রাজনৈতিক অস্থিরতা, পোলিউটেড সিটিজ এবং মানুষের জন্য বসবাসের অনুপযোগী শহরের তালিকায় নিজের শহরের নাম দেখে খারাপ লেগেছিলো। ডিয়েগো তার প্রোগ্রামের নাম দিয়েছেন ‘মা’কে বোলোনা’ কেননা মা চিন্তা করবেন ছেলেকে ওখানে যেতে দেখলে। যেন দুষ্ট ছেলে মা’কে ফাঁকি দিয়ে দূরে কোথাও গিয়ে জীবনের ভয়ংকর সব অ্যাডভেঞ্চারের মজা নেয়।
পত্রিকায় দেখলাম আর্থার ওঁজে নামে ২৯ বছর বয়সী এক ফরাসি নাগরিক ও পর্যটক বাংলাদেশে নিখোঁজ হয়েছেন। গত ১১ জানুয়ারির পর তার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। জানিনা, সে তার মা’কে বলে এসেছিলো কিনা যে সে বাংলাদেশের মত সবচেয়ে অমানবিক ও ভয়ংকর দেশে যাচ্ছে।
সারাবিশ্বে সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে এ দেশের। বাংলাদেশে এরকম নিখোঁজ প্রচুর হয়। তাদের মায়েরা কাঁদেন। তাদের পুত্রদের অন্য কোথায় যাবার যায়গা নেই। নিজ দেশেই তারা নিখোঁজ হন। তাদের বলবার দরকার পড়েনা, মা’কে বোলোনা আমি যে বাংলাদেশে।
আর্থার পর্বতারোহী এবং সাইকেল চালক হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ থেকে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য চট্ট্রগ্রাম থেকে মায়ানমার হয়ে মালয়েশিয়া যাবার কথা ছিলো আর্থারের। ৩০ বছর বয়সী আর্থারের উচ্চতা ৬ ফুট। চোখের মনির রং খয়েরী এবং চুলের রং লাল। আর্থারের কোন সন্ধান পাওয়া গেলে arthurangemissing@gmail.com ইমেইলে অথবা + 33 650 86 25 76 or French Foreign Affairs at 0033-1 53 59 11 00 নম্বরে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।