নবকণ্ঠ ডেস্কঃ সম্প্রতি বেশ কিছু নতুন অভিবাসী তাদের স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হয়ে কানাডা ত্যাগ করছেন। এই প্রবণতা বিশেষত গত কয়েক বছরে তীব্র আকার ধারণ করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে অভিবাসীদের কানাডা ছেড়ে যাওয়ার হার ১.১% থেকে ১.১৮% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। সমালোচকদের মতে, এই পরিস্থিতির প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে আবাসন সংকট, স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোর ওপর অতিরিক্ত চাপ।
একাধিক অভিবাসী তাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন যে কানাডায় থাকার খরচ অনেক বেশি এবং আয় কম হওয়ায় জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এক হংকংয়ের শরণার্থী জানিয়েছেন যে তিনি একটি বেজমেন্ট রুমের জন্য প্রতি মাসে ৬৫০ কানাডিয়ান ডলার (প্রায় ৫৩ হাজার টাকা) ভাড়া দিচ্ছেন, যা তার আয়ের ৩০ শতাংশের বেশি। তিনি একইসাথে তিনটি পার্টটাইম চাকরি করছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন, যা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতি অভিবাসীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করছে এবং অনেকেই আবার তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। যদি বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে, তবে আগামী ২৫ বছরে এই হার ২০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীরাও একইভাবে হতাশার সম্মুখীন হচ্ছেন, যার ফলে অনেকে কানাডা ত্যাগ করছেন। মূলত উচ্চ জীবনযাত্রার খরচ, বাসস্থানের সংকট এবং পর্যাপ্ত আয় না হওয়ার কারণে তারা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
অনেক বাংলাদেশি অভিবাসী অভিযোগ করেছেন যে কানাডায় থাকার খরচ অনেক বেশি। উদাহরণস্বরূপ, টরন্টোর মতো শহরে ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ খুবই বেশি।
এই অবস্থার কারণে বাংলাদেশি অভিবাসীরা তাদের জীবনের মান উন্নয়নের আশা পূরণ করতে পারছেন না এবং হতাশার মধ্যে পড়ছেন। এ পরিস্থিতি সামলাতে তারা আবার তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। গবেষকরা সতর্ক করছেন যে যদি এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে, তবে আরও বেশি অভিবাসী কানাডা ত্যাগ করতে পারে।
-191
নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।