মে দিবসে শ্রমিক স্মরণে

 

সাকিব আহমদ মুছা, প্যারিস (ফ্রান্স)

me

আমি একজন শ্রমিক এ পরিচয়ে আমি আমাকে নিয়ে গর্বিত। তারই আলোকে আজ মহান মে দিবসে বিশ্বের শ্রমজীবি মানুষকে অভিনন্দন। মে দিবস রক্ত দিয়ে অধিকার আদায়ের মাস লাল বর্ণে লিখা ইতিহাসের সাদা কাগজের পাতা।

তাই মে দিবসের শিক্ষা নিয়ে আমাদের অধিকার আদায় করতে হবে। এজন্য সকল সামাজিক সংগঠন ও শ্রমজীবি মেহনতী মানুষদের প্রতি আহ্বান জানাই। বাংলাদেশ তথা সর্ব ইউরোপ সহ এমন কি গভীর শ্রদ্ধা ও বিনয়ের সাথে স্মরণ করেন কল কারখানায় খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে রক্তঝরা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস সৃষ্টির দিন।

দীর্ঘ বঞ্চনা আর শোষন থেকে মুক্তি পেতে ১৮৮৬ সালের এদিন বুকের তাজা রক্ত ঝরিয়েছিলেন শ্রমিকরা।

আট ঘন্টা কাজের দাবিতে এদিন শ্রমিকরা যুক্তরাষ্ট্রের সব শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘটের ডাক দিয়ে ছিলেন। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর নির্বিচারের গুলি চালালে ১০ জন শ্রমিক প্রান হারান। গড়ে ওঠে শ্রমিক জনতার বৃহত্তর ঐক্য। অবশেষে তীব্র আন্দোলনের মুখে শ্রমিকদের দৈনিক আট ঘন্টা কাজের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
তারই ধারবাহিকতায় শ্রমিক দিবসের প্রেরনা থেকে বাংলাদেশ এখন মোটেও পিছিয়ে নেই। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে বিপুল উদ্দীপনা নিয়ে মে দিবস পালিত হয়। ওই বছর সদস্য স্বাধীন দেশ ১লা মে সরকারি ছুটি ঘোষিত হয়।

শ্রমজীবী মানুষকে শোষণের হাত থেকে মুক্তি ও তাদের অধিকার আদায়ের নানা শ্রেণী-পেশার শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নে আমরা সামাজিক সাংবাদিক বৃন্দ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী ব্যক্তি মালিকানা নির্বিশেষে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারসহ গণতান্ত্রিক শ্রম আইন ও শ্রম বিধিমালা প্রণয়ন, নিরাপদ কর্মস্থল, শোভন কাজ ও শোভন মজুরী নিশ্চিত করা, রেশন প্রথা চালু, নারী শ্রমিকদের সমকাজে সমমজুরী, সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সুলভে বাসস্থান, কারখানা ভিত্তিক হাসপাতাল এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা করে শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী নিশ্চিত করে শ্রমিকদের সুবিধা দিতে সরকারের প্রতি আহবান আমাদের সর্ব সামাজিক সংগঠনের।

কলাম লেখকের একান্ত ব্যক্তিগত মতামত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.