ইলোরা জামানঃ
হোলি নামক পূজাতে মুসলমান এবং কাভার করা হিজাবী মেয়েদের যেভাবে জোর জবরদস্তী করে রঙ মেখে দেয়া হলো তা দেখে আমি আতংকিত। সিরিয়াসলি আতংকিত। পুরুষটি তার হাত একটি মেয়ের মুখে শরীরে ডলতে লাগলো, এরকম কুতসিত ও অবমাননাকর দৃশ্যগুলো ঘটলো সকলের সামনে। মুসলমান নারী ধর্ম অনুযায়ী তার নিজেকে যেখানে পর পুরুষের ছায়া থেকে বাঁচাতে চায় সেখানে ঐ হিন্দু ছেলেরা সাহস পায় কি করে গায়ে হাত দেবার এবং এরকম সম্ভ্রমহানি করবার? হোলির এই জোর করে তাদের ধর্ম পালন করতে বাধ্য করাবার দুঃসাহস এবং এই উগ্রপন্থার জন্ম দিয়েছে কারা? মুসলমানদের জোর করে পূজার প্রসাদ খাওয়ানো হয়েছে যেটি হারাম মুসলমানের জন্য, একই কথা নয়? এই পূজা পালন এখন আমার জন্য আতংকের। ভিষণ আতংকের।
এইসব আস্কারা তাদের এমনি এমনি জন্ম নেয় নি। তাদেরকে এই নোংরামো এবং এই অপরাধ করতে দিনের পর দিন উতসাহিত করেছে আমাদের মিডিয়া এবং তথাকথিত প্রগতিশীল সেকিউলার সমাজ। তারা হিন্দু ধর্মের উৎসবকে পালন করানোর জন্য ‘ধর্ম যার যার’ টাইপের বিভিন্ন শ্লোগান বানিয়ে নিয়েছে। তারা ছেলে মেয়ে একসাথে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা করাকে প্রগতিশীলতা এবং উন্নত সমাজের প্রতীক হিসেবে প্রচার করে এসেছে। মিডিয়া তাদের সাপোর্ট দিয়ে এসেছে এসব প্রচারণায়। তারা দেখিয়েছে হিন্দুদের ধর্মীয় পূজা অর্চনা হলো উৎসব এবং এটি সার্বজনীন করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এই উৎসবে যেন সবাই অংশগ্রহণ করে এবং এসব করে বেড়ায় তার জন্য তাদের আপ্রাণ চেষ্টা চলেছে এবং আলটিমেটলি যা হবার তাই হয়েছে।
হিন্দু সমাজে এইভাবে পুরুষ এসে মেয়েদের শরীরে রঙ ডলে দেবে- এটিই নিয়ম, এটিই তাদের পূজা। সুতরাং তারা ভাবছে চমৎকার পূজা হয়েছে। তাদের কিছুই এসে যায়না। কিন্তু আমাদের মুসলমানদের কাছে আমাদের মেয়েদের গায়ে হাত দেয়া এবং জোর করে পূজায় অংশগ্রহণ করানো চরম অন্যায় এবং অপরাধ। নারীত্বের অবমাননা, সম্ভ্রমে আঘাত। এই নিকৃষ্ট অপরাধের নিন্দা জানাই এবং হোলি পূজা বন্ধ করার দাবী জানাই। এবং মুক্তচিন্তার নামে উগ্রতা ছড়িয়ে দেয়াতে ইন্ধন যোগানো মিডিয়া আর প্রগতিশীলদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। যেখানে আমাদের মেয়েরা লাঞ্ছিত সেখানে কোন কিছুতে ছাড় চলেনা। এই অশ্লীল পূজা বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটতে পারে। ঠেকাবে কে?
- লেখিকাঃ অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কলামিস্ট।