নবকণ্ঠ ডেস্ক: মুক্তি পেল সৈয়দ সাহিল পরিচালিত রাজনৈতিক থ্রিলার ওয়েবফিল্ম দাবাঘর। এটি প্রিমিয়ার হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ-তে।
চলচ্চিত্রের মূল চরিত্র রামিসা রহমান (নিগার সুলতানা মিমি), প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর কন্যা। তিনি সাংবাদিক আরিফ খানের কাছ থেকে এমন এক পেন ড্রাইভ পান, যাতে নাকি প্রমাণ রয়েছে—শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট প্রায় ২,১৭,০০০ কোটি টাকা অবৈধভাবে পাচার করেছে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের নানা ব্যাংকে। এই সূত্র থেকেই গল্প এগোয় শ্বাসরুদ্ধকর বিড়াল-ইঁদুরের খেলায়, যেখানে যুক্ত হয় রামিসা, অনুসন্ধানী আরিফ খান, নির্মম ব্যবসায়ী জহির চৌধুরী (স্বাধীন খসরু) এবং দ্বন্দ্বে জর্জরিত সহযোগী মাধব রায় (ইমতিয়াজ রনি)। তীব্র উত্তেজনা, বিশ্বাসঘাতকতা ও দ্বন্দ্বময় ঘটনার ভেতর দিয়ে দাবাঘর প্রশ্ন তোলে দুর্নীতির মানবিক মূল্য এবং ক্ষমতার নৈতিক সীমারেখা নিয়ে।
পরিচালক সৈয়দ সাহিল বলেন, “বহু বছর ধরেই দুর্নীতির বিপুল অর্থ ইউরোপ ও আমেরিকায় পাচার হচ্ছে। আমাকে ব্যক্তিগতভাবেও মানি লন্ডারিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই এই ওয়েবফিল্ম নির্মাণ করেছি।” তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, ছবিটি বিনোদনের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার গভীরতর প্রশ্নও উত্থাপন করে।
অভিনেতা ইমতিয়াজ রনি বলেন, “দাবাঘর নিঃসন্দেহে আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এখানে অভিনয়ের পাশাপাশি মূল গানেও কণ্ঠ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি, যা গল্পের আবেগকে আরও গভীর করেছে। স্বাধীন খসরুর মতো শীর্ষস্থানীয় শিল্পীর সঙ্গে অভিনয় ছিল অনন্য অভিজ্ঞতা। পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের শিল্পী ও দূরদর্শী পরিচালকের সঙ্গে কাজ করাটাও আমার জন্য বড় অনুপ্রেরণা।”
সাবরিনা ইসলাম নাদিয়ার প্রযোজনায় নির্মিত ওয়েবফিল্মটিতে অভিনয় করেছেন স্বাধীন খসরু, আহাসান উদ্দিন, ইমতিয়াজ রনি, নিগার সুলতানা মিমি, আরিফ খান, সজিব মোত্তাকিন, মাসুদ আল আজাদসহ ফরাসি অভিনয়শিল্পীরাও।
নির্মাতাদের দাবি, দর্শকরা এখানে একদিকে ধ্রুপদী থ্রিলারের টানটান উত্তেজনা, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অর্থপাচার ও দুর্নীতির জটিলতা সহজভাবে বুঝতে পারবেন। পাশাপাশি মানবিক সম্পর্ক ও চরিত্রের দ্বন্দ্বকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের আশা, দাবাঘর শুধু বিনোদন নয়—বরং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, জবাবদিহিতা এবং আর্থিক অপরাধের বিরুদ্ধে সত্য অনুসন্ধানের ঝুঁকি নিয়ে সমাজে নতুন আলোচনা শুরু করবে।
নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।