নবকণ্ঠ ডেস্ক: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব আজ শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসবকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পক্ষ থেকে ও ব্যক্তিগতভাবে তিনি হিন্দু সম্প্রদায়কে অভিনন্দন জানান।
ডা. শফিকুর রহমান উল্লেখ করেন, বাংলাদেশকে দীর্ঘদিন ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এ দেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিজস্ব ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করে আসছে। ইতিহাসে এমন সহাবস্থান বিরল বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের বহু ক্ষমতাধর রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশের প্রশংসা করেছে। এ দেশকে তারা একদিকে ‘মডারেট মুসলিম কান্ট্রি’ আবার অন্যদিকে ‘রোল মডেল অব কমিউনাল হারমনি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
এ প্রেক্ষাপটে তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, কয়েক বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার গ্রে উইল কুক বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রশংসা করে মন্তব্য করেছিলেন, ঈদ ও পূজা একই সময়ে এলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা একে অপরকে যেভাবে সহযোগিতা করে তা বিশ্বে বিরল। একইভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেলিগেশন প্রধান উইলিয়াম হানা মন্তব্য করেছিলেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উন্নত মডেল; এখানে সব ধর্মের মানুষ শান্তি ও স্বাধীনতার সঙ্গে বসবাস করছে এবং ধর্ম পালন করছে।
তার মতে, বাংলাদেশের ধর্মীয় উৎসবগুলো কেবল নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে তা রূপ নেয় মিলনমেলায়। এর ফলে জাতি হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ উঁচু মর্যাদায় পৌঁছেছে।
ডা. শফিকুর রহমান আশা প্রকাশ করেন, শারদীয় দুর্গোৎসব জাতীয় জীবনে সহনশীলতা ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়সহ দেশের সব জাতিগোষ্ঠীর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন এবং বলেন, পারস্পরিক ভালোবাসা, সহনশীলতা ও শ্রদ্ধা আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে।
নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।