গোয়েন্দা স্যাটেলাইট ব্যর্থ হবার পরই পরবর্তী উৎক্ষেপনের ঘোষনা উত্তর কোরিয়ার

গোয়েন্দা স্যাটেলাইট ব্যর্থ হবার পরই পরবর্তী উৎক্ষেপনের ঘোষনা উত্তর কোরিয়ার

নবকণ্ঠ ডেস্কঃ মহাকাশে একটি উপগ্রহ পাঠাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে উত্তর কোরিয়া। তারা জানায়, উপগ্রহটিকে নিয়ে যাওয়া রকেটটি মাঝ আকাশে বিস্ফোরিত হয়েছে। এই প্রচেষ্টা ছিল দেশটির সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর একটি অংশ। তবে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এই মিশন সফল হয়নি।

সোমবার রাতে (স্থানীয় সময়) উৎক্ষেপিত এই রকেটটির প্রথম ধাপেই বিস্ফোরণ ঘটে, যার ফলে এটি মাঝ আকাশেই ধ্বংস হয়ে যায়। উৎক্ষেপণের প্রায় দুই মিনিট পরই দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বেশ কিছু ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রে শনাক্ত করে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, নতুন প্রকারের তরল জ্বালানির রকেট মোটরের অপারেশনাল ত্রুটি এই ব্যর্থতার কারণ হতে পারে, তবে অন্যান্য কারণও তদন্তাধীন রয়েছে।

উৎক্ষেপণের কয়েক ঘণ্টা আগে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছিল, তারা চার জুনের মধ্যে একটি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাবার চেষ্টা করবে। এর আগে গতবছর নভেম্বরে তারা প্রথম গুপ্তচর উপগ্রহ মহাকাশে পাঠায়। জাপানের টিভি নেটওয়ার্ক এনএইচকে-র ফুটেজে রাতের আকাশে একটি জ্বলন্ত প্রজোক্টাইলকে দেখা গেছে।

তবে সেই ব্যর্থতার পর তারা দ্রুতই নতুন করে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণা দিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপ তাদের মহাকাশ কর্মসূচির প্রতি তাদের আগ্রহ এবং দৃঢ়তা প্রকাশ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এই রকেট উৎক্ষেপণ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের বিরোধী। কারণ, এই রকেট উৎক্ষেপণ সরাসরি তাদের ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত।

উত্তর কোরিয়ার এই উদ্যোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন, কারণ এটি অঞ্চলে সামরিক উত্তেজনা বাড়াতে পারে। উত্তর কোরিয়া ভবিষ্যতে আবারো এমন প্রচেষ্টা চালাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়ার এই গুপ্তচর উপগ্রহ উৎক্ষেপণের প্রচেষ্টা দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এটিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবগুলির লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে। উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রথম সফলভাবে একটি গুপ্তচর উপগ্রহ কক্ষপথে স্থাপন করেছিল।

-191

 

 

নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.