নবকণ্ঠ ডেস্কঃ মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, বন্ধ হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। শুক্রবারের (৩১ মে) পর থেকে আর কোনো বাংলাদেশি শ্রমিক প্রবেশ করতে পারবে না মালয়েশিয়ায়।
বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারের বন্ধ হওয়া অত্যন্ত দু:খজনক ও জরুরি অবস্থা। এই ধরনের বন্ধের সাহায্যে বাংলাদেশি প্রবাসীদের আর্থিক সঙ্কটে পড়তে হতে পারে এবং তাদের জীবনযাপনের সুযোগ হতে পারে। এটি আমন্ত্রণের উপায়ে মালয়েশিয়ার সরকারের সাথে সমাধানের দিকে ধাবন করা উচিত। তবে, বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য বিনিয়োগ ও স্থায়ী নির্মাণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দিকে এবং তাদের সামাজিক ও আর্থিক সুরক্ষা সংক্রান্ত সুযোগ ও ব্যবস্থা গড়ে তোলার দিকে আগ্রহ প্রকাশ করা উচিত।
এদিকে দুটি আন্তর্জাতিক টার্মিনালে প্রায় ২০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী পৌঁছেছেন, যারা দেশটিতে প্রবেশ করতে পারেননি। তারা অবস্থান করছেন বিমানবন্দরের ফ্লোরে। এতে দুর্ভোগ বাড়ছে কর্মী ও নিয়োগকর্তাদের। নিজেদের কর্মী শনাক্তে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নিয়োগকর্তাদের। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে কর্মীদের।
মালয়েশিয়ার নিউ স্ট্রেইট টাইমস জানায়, ১ জুন থেকে বর্তমান কোটার অধীনে নতুন কোনো শ্রমিক নেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দীন নাসুশন ইসমাইল। অপরদিকে, কোটা পদ্ধতিতে সংস্কার সাধনের পর এবং ৩০ জুন শ্রমিকদের আসার ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে শ্রমিক নেয়ার ব্যাপারে চিন্তা করা হবে বলে জানিয়েছেন মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম।
এদিকে, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটিতে থাকা বাংলাদেশি কর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবাসী বলেন, সিন্ডিকেট চক্রের অনিয়ম দুর্নীতি এবং অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়ের কারণে আগামীকালের পর থেকে জনশক্তি রফতানি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দালালদের হাত বদল হয়ে প্রায় চার থেকে ৫ লাখ টাকা ব্যয় করে কর্মীরা দেশটিতে যাচ্ছে।
দেশটিতে প্রবেশের সময় বৃদ্ধি না হলে প্রায় ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া গমনে অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে। তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ায় গিয়ে শোষণের শিকার হচ্ছে। দেশটিতে বাংলাদেশি কর্মীরা অস্থিতিশীল ও অসম্মানজনক অবস্থায় রয়েছে। শোষণকারী নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি অপর্যাপ্ত।
-191
নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।