নবকণ্ঠ ডেস্কঃ মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের অবস্থা বর্তমানে খুবই কঠিন। সম্প্রতি বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে শত শত অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে, যার মধ্যে অনেক বাংলাদেশি রয়েছে। কুয়ালালামপুরে এক অভিযানে ২৫২ জন বাংলাদেশি সহ ৪২৫ জনকে আটক করা হয়, যাদেরকে পাস বা পারমিটের অপব্যবহার, অবৈধভাবে অবস্থান এবং অন্যান্য অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে রাখা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলমান।
এছাড়া, রাজধানীর পাইকারি বাজারে পরিচালিত আরেক অভিযানে ১৯ জন বাংলাদেশি সহ ১০৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়।
দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ বলছে, কোনোভাবেই অবৈধ অভিবাসীদের থাকতে দেওয়া হবে না। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফিরতে হবে। মালয়েশিয়ার এমন দৃঢ় সিদ্ধান্তের মধ্যে অবৈধ শ্রমিকদেরও ঘরে ফিরে আসতে হবে। বারবার এমন তাগিদেও যারা ফিরবেন না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে দেশটির সরকার।
জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের শোষণের অভিযোগও উঠেছে। তাদের অভিযোগ অনুযায়ী, অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, তাদের অধিকাংশই অবৈধভাবে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন এবং তাদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
দেশটিতে বর্তমানে থাকা প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা অবৈধভাবে বসবাস করছেন তাদের মধ্যে বিরাজ করছে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। নানা জটিলতায় মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরতে পারে প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশি যার প্রভাব পড়তে পারে আমাদের রেমিট্যান্স প্রেরণেও। দেশে ফেরা প্রবাসীদের এই তালিকায় বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেশ লম্বা হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
মালয়েশিয়ান সরকার অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং যারা অবৈধ অভিবাসীদের সহায়তা করে বা নিয়োগ দেয় তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই কঠোর পদক্ষেপের ফলে অবৈধ অভিবাসীরা এক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
-191
নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।