ফ্রান্সের রাজনীতির জটিল সমীকরণ: দুঃচিন্তায় মুসলিম ও অভিবাসী জনগোষ্ঠী

ফ্রান্সের রাজনীতির জটিল সমীকরণ: দুঃচিন্তায় মুসলিম ও অভিবাসী জনগোষ্ঠী

নবকণ্ঠ ডেস্কঃ ফ্রান্সের রাজনীতিতে কট্টরপন্থী দলগুলির উত্থান এবং তাদের দ্বারা মুসলিম ও অভিবাসী জনগোষ্ঠীগুলির উপর দুশ্চিন্তা তৈরি হচ্ছে। ফ্রান্সে গত কয়েক বছরে মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর প্রতিরোধমূলক অবস্থান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যা বিভিন্ন অবস্থানে অভিবাসী সম্প্রদায়গুলির বিরুদ্ধে সংঘর্ষপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এই প্রতিরোধের মধ্যে রাষ্ট্রপ্রশাসন, নীতিমালা, সামাজিক সম্প্রদায়, ও ধর্মীয় আন্দোলনের তত্ত্ব ও প্রক্রিয়ার মধ্যে সংঘর্ষের দুটি দিক রয়েছে।

জনমত জরিপ বলছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পথে কট্টর ডানপন্থীরা। বরাবরই, মুসলিম বিদ্বেষী অবস্থানের জন্য আলোচনায় ন্যাশনাল র‍্যালির ম্যারি ল্যু পেন ও জর্ডান বারডেলা। অভিবাসন আইন কঠোর করার পক্ষেও সোচ্চার তারা। এখন তারাই যদি ক্ষমতায় আসে, তবে আরও কঠিন হবে দেশটির সংখ্যালঘুদের জীবন-যাপন।

ইউরোপের সবচেয়ে বড় মুসলিম কমিউনিটি ফ্রান্সে। দেশটির মোট জনগোষ্ঠীর ৮ শতাংশই ইসলাম ধর্মাবলম্বী। সন্ত্রাসবাদ দমনের অজুহাতে অবশ্য ম্যাকরন সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের নিয়ন্ত্রণে একগুচ্ছ আইন পাস হয়েছে। যার ফলে, মুসলিমদের জন্য এখন ফ্রান্সে জীবন যাপন আগের চেয়ে অনেক কঠিন।

হয়তো ফ্রান্সের বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি উদ্বেগপূর্ণ সময় পার করছে যা মুসলিম ও অভিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য হুমকি হতে পারে। ফ্রান্সে বর্তমান সরকারের রাজনীতি নানা বতর্কের মোড় নিচ্ছে এবং তা বিভিন্ন নীতি এবং পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠিত মতামতের মধ্যে বিভিন্ন নির্ণয়ে সাংঘর্ষিক হয়ে উঠছে।

কট্টোর মুসলিম বিদ্বেষী অবস্থানের জন্য বেশ আলোচিত ন্যাশনাল র‍্যালির নেতারা। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে, ক্ষমতায় গেলে হিজাব নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন ম্যারি ল্যু পেন। মসজিদ বন্ধের আইন আরও সহজ করার করার পক্ষেও অবস্থান পেনের দলের। মুসলিমদের শঙ্কা, ন্যাশনাল র‍্যালি পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ফ্রান্সে টিকে থাকাই হবে কঠিন।

অভিবাসীদের জন্যও বিপদের কারণ হতে পারে কট্টর ডানপন্থীরা। সীমান্ত আইন কঠোর করা ন্যাশনাল র‍্যালির অন্যতম এজেন্ডা। ফরাসী পাসপোর্ট না থাকলে সামাজিক সুরক্ষা অধিকার থেকে দেশটিতে বসবাসকারীদের বঞ্চিত করার পরিকল্পনাও দলটির।

অবশ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, পার্লামেন্ট কোনো দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। এছাড়া, তৃতীয় হওয়ার শঙ্কায় ম্যাকরনের দল। আর এমনটা হলে, পার্লামেন্টে আফিশিয়াল বিরোধী দলের স্বীকৃতিও পাবে না ম্যাকরনের দল। ফলে, অনেকটাই কমে যাবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা। এতে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।

 

-191

 

নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.