নবকণ্ঠ ডেস্কঃ মালয়েশিয়ায় অভিবাসন আইনের অধীনে বিভিন্ন অপরাধে ২৭০ অভিবাসীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে ১৮ থেকে ৫৪ বছর বয়সী বিভিন্ন দেশের ৭৫ জন নারীও রয়েছেন। এছাড়া মিয়ানমার ৮২, বাংলাদেশের ৬৬, ইন্দোনেশিয়া ৫০, থাইল্যান্ড ৩৩, পাকিস্তান ১৫, নেপাল ৯, চীনসহ ভারত, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন এবং মিশরের নাগরিক রয়েছেন।
এই অপরাধগুলির মধ্যে সাধারণত অবৈধভাবে দেশটিতে অবস্থান, অবৈধভাবে কাজ করা, মানবপাচার, মাদকদ্রব্য চোরাচালান ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসন একটি বড় সমস্যা এবং নিয়মিতভাবে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ১০ হাজার রিঙ্গিত জরিমানা বা উভয় দণ্ডের পাশাপাশি বেতের ছয়টি আঘাত হতে পারে
গত ২৬ এপ্রিল থেকে ৩০ মে এর মধ্যে পাসির গুদাং, তামান উংকু তুন আমিনাহ এবং গেলাং পাতাহ এর আশপাশে একটি নির্মাণ সাইট, দোকান ঘর এবং কারখানায় অভিযান চালিয়ে অভিবাসীদের অটক করা হয়।
কোনো বৈধ নথি ছাড়াই মালয়েশিয়ায় বসবাসের জন্য অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ বিচারক ফাতিমা জাহারির সামনে পড়ে শোনানো হয়। অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬ (১) (সি) অনুসারে তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং একই আইনের ট্রিপল ব্র্যাকেটের ৬ ধারা অনুসারে শাস্তি দেওয়া হতে পারে।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন কঠোর, এবং অবৈধ অভিবাসন একটি বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ফলে স্থানীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ অভিবাসীদের আটক করে থাকে। গ্রেফতারের পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হয় এবং প্রমাণিত হলে তাদেরকে জরিমানা, কারাদণ্ড বা দেশে ফেরত পাঠানোর শাস্তি দেওয়া হয়। কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দূতাবাস বা হাইকমিশন অভিযুক্তদের সনাক্ত করতে এবং আইনগত সহায়তা দিতে মালয়েশিয়ার সরকারের সাথে সহযোগিতা করে।
-191
নিউজের ©সর্বস্বত্ব নবকণ্ঠ কর্তৃক সংরক্ষিত। সম্পূর্ণ বা আংশিক কপি করা বেআইনী , নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।